আনোয়ারা বেগম মুসলিম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ
ঢাকার বংশাল থানাধীন ১৩, নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত একটি ঐতিহ্যবাহী এবং সুপরিচিত নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এটি ১৯৩২ সালের ১লা জানুয়ারী প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস ও পরিচিতি
- প্রতিষ্ঠা: সুফিয়া খাতুন (যিনি 'ওস্তাদ আম্মা' নামে পরিচিত ছিলেন) নামে একজন মহীয়সী নারী মাত্র দশজন ছাত্রী নিয়ে এই প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু করেন।
- প্রাথমিক নাম: প্রতিষ্ঠার সময় এর নাম ছিল মুসলিম গার্লস স্কুল। মূলত রক্ষণশীল মুসলিম পরিবারের মেয়েদের শিক্ষার সুযোগ করে দেওয়াই ছিল এর প্রধান লক্ষ্য।
- নামকরণ: পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এ. ইউ. এম খলিলউল্লাহ তার সহধর্মিণী মরহুমা আনোয়ারা বেগমের নামে স্কুলটির নামকরণ করেন "আনোয়ারা বেগম মুসলিম উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়"।
- কলেজে রূপান্তর: পুরনো ঢাকার মেয়েদের উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করার লক্ষ্যে ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠানটিকে মহাবিদ্যালয়ে উন্নীত করা হয় এবং তখন থেকেই এটি "আনোয়ারা বেগম মুসলিম উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজ" নামে পরিচিত।
- অবস্থান: এটি পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডে অবস্থিত (পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারের ঢালে)।
শিক্ষাব্যবস্থা
প্রতিষ্ঠানটি
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরিচালিত হয় এবং এখানে মাধ্যমিক ও উচ্চ
মাধ্যমিক উভয় স্তরে পাঠদান করা হয়। এখানে মানবিক, বিজ্ঞান এবং ব্যবসায়
শিক্ষা - এই তিনটি বিভাগ চালু রয়েছে।
সাংস্কৃতিক ও সামাজিক প্রভাব
প্রতিষ্ঠালগ্ন
থেকেই এই প্রতিষ্ঠানটি নারী শিক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
অনেক ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মহিলা এই স্কুল ও কলেজ থেকে পড়াশোনা করে সমাজ ও
দেশের বিভিন্ন উচ্চ পদে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। এটি অত্র এলাকার নারী শিক্ষার
প্রসারে একটি মডেল হিসেবে কাজ করে।
এই
প্রতিষ্ঠানের প্রথম পুনর্মিলনী ২০১৮ সালের ১৩ই জানুয়ারী ৮৫ বছর পূর্তি
উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যেখানে ১৯৩২ থেকে ২০১৭ সালের প্রাক্তন ছাত্রীদের
মিলনমেলা ঘটে।
সংক্ষেপে, এটি নারী শিক্ষার প্রসারে নিবেদিত একটি ঐতিহ্যবাহী এবং গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।